কেএম জহুরুল হক জনি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: নির্বাচন কমিশন কতৃক ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা- (সাঘাটা-ফুলছড়ি)-৫ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

আসন্ন এ নির্বাচনে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার ছিলো শেষ দিন।

শেষ দিন পর্যন্ত আ.লীগের ১০জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর ফরম জমা পরেছে মনোনয়ন বোর্ড দপ্তরে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন,প্রয়াত ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়ার ছোট ভাই ফরহাদ রাব্বীর স্ত্রী গাইবান্ধা জেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি লৎমিলা পারভীন ছন্দা, ফজলে রাব্বীর ছোট মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী, সাঘাটা উপজেলা আ,লীগের সভাপতি সামশীল আরেফিন টিটু,ফুলছড়ি উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নুরুল আমিন,ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগ সভাপতি জিএম সেলিম পাভেজ,সাঘাটা উপজেলা আ’লীগ এর সহ-সভাপতি মাহাবুর রহমান লিটল, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন,আ.লীগ নেত্রী উম্মে জান্নাতুল ফেরদৌস(শাপলা),সাবেক যুবলীগ নেতা সুশীল চন্দ্র সরকার।দুই এক দিনের মধ্যেই এ আসনের প্রার্থী হিসেবে একজনের নাম চুড়ান্ত করবেন মনোনয়ন বোর্ড । এদের মধ্যে মাহমুদ হাসান রিপন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।

আ.লীগ সর্মথিত ১০ জন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের জন্য আরো এক শক্তিশালী কান্ডারী ১/১১-সহ শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনের রাজপথ কাপানো নেতা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন।

তিনি অক্লান্ত শ্রম, ত্যাগ ও মেধা কাজে লাগিয়ে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত দুর্গম চরসহ দুই উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড,গ্রাম ও পাড়ায় ঘুরে ঘুরে তৃণমুলের নেতা কর্মীদের শক্তি,সাহস এবং অনেক উন্নয়নে অবদান রেখে দুই উপজেলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে নিজেকে আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ।

তাই দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসী মনে করেন আগামী উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে মাহমুদ হাসানের বিকল্প কোন প্রার্থী নেই। তাকে নৌকা প্রতীক দিলে বিজয় সুনিশ্চিত হবেই।

তাকে ব্যতিত অন্য কাউকে আওয়ামী লীগের মনেনয়ন দেয়া হলে ত্যাগী নেতা-কর্মীসহ এলাকাবাসি মোড় ভিন্ন দিকে ঘুরতে পারে। মাহমুদ হাসান রিপন জানান, মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে পারবো।

লুৎমিলা পারভীন ছন্দা বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচনে লড়বেন। বিজয়ী হলে তিনি ফজলে রাব্বীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন বলে জানান।
ফারজানা রাব্বী বুবলী জানান, মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হয়ে বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবনে।

ফারজানা বুবলী বলেন আমাকে মনোনয়ন দিলে আমার বাবার খ্যাতিদিয়ে নির্বাচনের বিজয় নিশ্চিত করবে তিনি আশা করছেন।